সত্য বলুন
ম্যাট ওয়ালশ ও এন্ড্রু টেইট
ট্রান্সজেন্ডারিজমের উপরে ম্যাট ওয়ালশের বানানো ডকুমেন্টারি বিখ্যাত ‘What is a woman’ রিলিজ হয়েছে টুইটারে। প্রথমদিনে রেস্ট্রিক্ট করার চেষ্টা করে টুইটারের লিবারেল কর্তৃপক্ষ। পরে ইলন মাস্কের হস্তক্ষেপে এটা আবার প্রচারিত হয়। তারপর থেকে মাত্র কয়েকদিনেই তাতে ইম্প্রেশন পড়েছে ১৭১ মিলিয়ন। ধরা হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দেখা হওয়া ডকুমেন্টারি। ২০২৩ অস্কার, জো বাইডেনের ২০২৩ স্টেইট অফ ইউনিয়ন ও গেইম অফ থ্রোন্সের সিজন ফিনালের চেয়ে বেশি ভিউ হয়েছে এ ডকুমেন্টারির।
এদিকে প্রথম মেইনস্ট্রিম মিডিয়া হিসেবে এন্ড্রু টেইটের সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিবিসি। ছিলেন জনপ্রিয় লিবারেল সাংবাদিক লুসি হকিংস। এ ইন্টারভিউতে ব্রুটালি অপমানিত হয়েছেন তিনি। কোনো কথা তো টু দ্য পয়েন্ট ধরতেই পারেননি, এন্ড্রুর কাছে চূড়ান্ত অপমানিত হয়েছেন প্রতি কথার জবাবে। এ লজ্জাজনক ৩৮ মিনিটের সাক্ষাৎকার তাই কেটে মাত্র ১৫ মিনিট করে আপলোড দিয়েছে বিবিসি। তারপর থেকে প্রতি মিডিয়া যেন এন্ড্রুর পায়ে ধরা বাকি সাক্ষাৎকার নিতে। সবার লক্ষ্য কীভাবে নামানো যায় এন্ড্রুকে।
ম্যাট ওয়ালশ ও এন্ড্রু- এ দুজনের কন্টেন্ট এতো প্রচন্ড মাত্রায় জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কী? তারা রাজার ছেলে? বা তাদের ভিডিও এডিটিং পৃথিবী বিখ্যাত? না। বরং খুব সাধারণ কিছু কথা যেগুলো আমাদের দাদা-নানাকে বললে তারা বলতেন, “এটা আলাদা করে বলা লাগে নাকি?” ম্যাট বলেছেন, “যে পুরুষাঙ্গ নিয়ে জন্মায় সে পুরুষ আর যে যোনী নিয়ে জন্মায় সে নারী। এগুলো বদলানো সম্ভব না”। এন্ড্রু বলেছেন, “পুরুষের কাজ নারীকে রক্ষা করা ও ভরণপোষণ করা। নারীর কাজ লয়্যাল থাকা, সন্তান পালন করা। তরুণ ছেলেদের উচিত দায়িত্ব নিতে শেখা।”
ব্যস এট্টুকই। এট্টুকের কারণেই তারা জনপ্রিয় হয়ে যান।
কারণ, শিক্ষাব্যবস্থা, মিডিয়া, রাজনৈতিক শক্তি, কালচাড়াল হেজেমনি যেখানে আপনাকে একদম বেসিক সত্য ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছে, মানুষের হাজার কোটি বছর ধরে বিশ্বাস করে আসা সবগুলো সত্যকে নিয়ন্ত্রণ করে বদলে দিতে চাচ্ছে, সে যুগে দাঁড়িয়ে সাধারণ সত্য বলা, কমনসেন্সিকাল কিছু কথা বলাও একটা বৈপ্লবিক কাজ। যার কারণে তাদেরকে নামিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে বিগ ব্রাদার। জেলে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সব চেষ্টা করেও মানুষ এগুলোতে সাড়া দিচ্ছে। শুনতে চাচ্ছে একদম সাধারণ কিছু সত্য কথা।
সত্য বলুন।
সত্যই মুক্তি।


Follow korlam
Facebook,twitter,youtube, finally akhanew...