আরব বসন্তের পরিণতি সিরিয়া
আরব বসন্ত চলাকালীন সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা মাইকেল শইয়ার একটা কথা বলেছিলেন, "আরব বসন্তে মানুষের মানবাধিকার, গণতন্ত্রসহ নানা দাবি থাকলেও মূল দাবি হলো ইসলামী শাসনের। তারা স্বৈরশাসকদের বিরোধিতা করার অন্যতম কারণ হলো এরা সেক্যুলার।"
.
পশ্চিমারা তার কথা মানতে পারেনি। হয় মানতে পারেনি, অথবা ধামাচাপা দিতে চেয়েছে। তারা দেখাতে চেয়েছে আসলে আরব বসন্তে যারা রাস্তায় নেমে এসেছে তারা আসলে লিবারেল ডেমোক্রেসি চায়। তারা স্বৈরশাসন চায় না, কুরআনের আইনও চায় না।
.
আরব বসন্তে সেভাবে কোনো দেশই বিজয়ের মুখ দেখেনি। অবশেষে যখন একটা দেশ, অর্থাৎ সু/রিঅ। বিজয়ের মুখ দেখলো, আমরা দেখলাম তারা লিবারেল ডেমোক্রেসিকে কু/ফ%র মনে করে। তাদের পতাকায় কালিমা। তাদের মুখে তাকবির। তারা আল্লাহর আইন দিয়ে শাসন চালানোর ঘোষণা দেয়।
.
এবং লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে তাদেরকে সমর্থন দেয়।
.
স্যামুয়েল পি হান্টিংটন এমনই একটা কথা বলেছিলেন। পশ্চিমাদের প্রধান শত্রু কেন ইসলাম হবে তার দুটো কারণ বলেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো সমগ্র মুসলিম বিশ্বেই কুরআনের শাসন প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খা বেশ প্রবল। যার কারণে এতো সংঘাত দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্যে।
.
ইনশাআল্লাহ এ শতাব্দি ইসলামের বিজয়ের শতাব্দি।